সেলিম উদ্দীন, কক্সবাজার ::
কক্সবাজার চট্রগ্রাম মহাসড়কে পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় ঈদের ১ সপ্তাহ পরও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। মহাসড়কের ঈদগাঁও বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি-হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
সরেজমিন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় দেখা গেছে,
ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি না পেয়ে নারী-পুরুষ শতাধিক যাত্রী বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ,ট্রলি, ভ্যানসহ ট্রাকে করে গন্তব্যে ফেরার চেষ্টা করছেন।
বিশেষ করে সদর উপজেলার ঈদগাঁও, নতুন অফিস, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী,ডুলাহাজার,মালুমঘাট বাসস্ট্যান্ডসহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্ট্যান্ডে ঈদ শেষে নিজ গন্তব্যে ফেরা যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
তাদের মধ্যে অনেকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে যানবাহন না পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলেও জানা গেছে।
সদরের জালালাবাদ ইউনিয়নের মোহনভিলার বাসিন্দা জাফর আলম জানান, ফেনীতে কর্মরত তার ছেলে ঈদগাঁও স্টেশনে প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করে দুইগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে চট্রগ্রাম পর্যন্ত গেছেন। সেখান থেকে অন্য গাড়িতে কর্মস্থলে পৌঁছান। একই কথা জানান ইসলামপুর নাপিতখালী গ্রামের আমির হোসেন। তিনিও একইভাবে তার কর্মস্থল ঢাকা পৌঁছেছেন।
পোকখালীর আলফজর পাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, পরিবহন সংকটের কারণে তিনি কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে কর্মস্থলে যেতে না পেরে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খুটাখালীর বিভিন্ন আবাসিক স্কুলে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা ছুটি শেষে বাড়ি থেকে প্রতিষ্টানে আসতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অত্যাধিক যানবাহন সংকটের কারণে পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুরা ঝুঁকি নিয়ে পিকআপে উঠে যেতে দেখা গেছে।
খুটাখালী ষ্টেশনে শিশু বাচ্চা আলিফের মা আমিনা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, তার বাচ্চাকে টিকা দিতে পরিবার পরিকল্পনা হাসপাতালে এসেছিলেন। গাড়িতে উঠতে না পেরে ৫ টাকার ভাড়া ২০ টাকা দিয়ে পাগলিরবিল যেতে তিনি পিকআপে উঠেছেন।
ইসলামপুর নতুন অফিস জুমনগর এলাকার রাশেদা বেগম (৪৫ ) বলেন, তিনি নিজেই ডাক্তার দেখাতে মালুমঘাট হাসপাতালে গিয়েছিলেন। বাড়ি যাওয়ার জন্য তিনি ৫০ টাকা ভাড়ায় পিকআপে উঠেছেন। তবে পিকআপ চালকরা বলছেন, নতুন অফিস পর্যন্ত গাড়ি যাবে, যেখানেই নামেন ৫০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। বাধ্য হয়েই তিনি ৫০ টাকা ভাড়ায় পিকআপে উঠেন বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েকজন নেতা জানান, বাসের সংকট থাকায় তারা যাত্রীদের কথা চিন্তা করে পিকআপে তুলে দিচ্ছেন। তবে ভাড়া একটু বেশি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তারা।
পাঠকের মতামত: